স্টোকস-বেয়ারস্টোর ব্যাটিংয়ের জোরে ভারতকে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল ইংল্যান্ড
ভারত: ৫০ ওভারে ৩৩৬/৬ (রাহুল ১০৮, পন্থ ৭৭, টপলি ২/৫০)ইংল্যান্ড: ৪৩.৩ ওভারে ৩৩৭/৪ (বেয়ারস্টো ১২৪, স্টোকস ৯৯, প্রসিদ্ধ ২/৫৮)ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী।কেএল রাহুলের শতরান কিংবা ঋষভ পন্থের ঝোড়ো ৭৭। পুণেতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কোনও কিছুই টিম ইন্ডিয়ার হার বাঁচাতে পারল না। জনি বেয়ারস্টোর দুরন্ত শতরান এবং বেন স্টোকসের ৯৯ রানের সৌজন্য ভারতের দেওয়া ৩৩৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা সহজেই পেরিয়ে গেল ইংল্যান্ড। আর এর ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনল ইংরেজরা।এদিন প্রথম ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩৩৬ রান তোলেন বিরাটরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওয়ানডের মতোই দুরন্ত ব্যাটিং করেন দুই ইংরেজ ওপেনার। প্রথম উইকেটে ১১০ রান যোগ করেন জেসন রয় এবং জনি বেয়ারস্টো। এরপর ৫২ বলে ৫৫ রান করে আউট হন জেসন। কিন্তু তিন নম্বরে নামা বেন স্টোকস এদিন যেন দুরন্ত ছন্দে ছিলেন। বেয়ারস্টো এবং স্টোকস মিলে ১১৭ বলে ১৭৫ রান যোগ করেন। আর এই জুটিই বলতে গেলে ভারতকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। বেয়ারস্টো ১১২ বলে ১২৪ রান করেন। মারেন ১১টি চার ও ৭টি ছয়। উল্টোদিকে, মাত্র ১ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া করেন বেন স্টোকস। মাত্র ৫২ বলে ৯৯ রানের ইনিংসে ইংরেজ অলরাউন্ডার মারেন ৪টি চার এবং দশটি ছয়। এরপর স্টোকস, বেয়ারস্টো এবং বাটলারের উইকেট দ্রুত পড়লেও তাতে ইংল্যান্ডের জয় আটকায়নি। শেষপর্যন্ত ৩৯ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ইংল্যান্ড। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে কেউই তেমন দাগ কাটতে পারেননি। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা দুটি উইকেট এবং ভুবনেশ্বর একটি উইকেট পান। এর আগে দিনের শুরুতে কোহলি, কেএল রাহুল এবং ঋষভের ব্যাটে ভর করে স্কোরবোর্ডে তিনশোর উপর রান তুলতে সক্ষম হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। রাহুল করেছিলেন অনবদ্য ১০৮ রান। অন্যদিকে, ঋষভ করেন ৭৭ রান। অধিনায়ক কোহলিও ব্যাটে রান পান। তাঁর সংগ্রহ ছিল ৬৬ রান। কিন্তু সেই সব ইনিংসই চাপা পড়ে গেল বেয়ারস্টো-স্টোকসের ব্যাটিংয়ের সামনে। এই ম্যাচে ভারত হারায় সিরিজের শেষ ম্যাচটি হয়ে দাঁড়াল ফয়সলার। ওই ম্যাচ যাঁর, সিরিজ তাঁর।